একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংসদে শপথ নেবেন কিনা এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচিত দুই এমপিকে তলব করে এ কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
এ দুজন সংসদ সদস্য হলেন, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ও যুগ্ম মহাসচিব চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই সংসদ সদস্যকে রবিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ডাকেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দুই সাংসদ সেখানে গেলে তাদের উপস্থিতিতে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে শপথ নেয়া না নেয়ার বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উকিল আবদুস সাত্তার ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমাদেরকে মহাসচিব ডেকেছিলেন, আমরা সৌজন্য সাক্ষাত করেছি। আগামীকালের মধ্যে শপথের ব্যাপারে বিএনপি দলীয় অবস্থান জানাবে।’
এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সভাপতিত্বে গুলশানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদে শপথ নেয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষের নির্বাচিত প্রার্থী জাহিদুর রহমান। গতকাল শনিবার রাতে গুলশানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠক শেষে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচিত অন্য সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিলে তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ভোটে অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যেখানে বিএনপির ৬ জন সহ ঐক্যফ্রন্ট থেকে মোট ৮ প্রার্থী বিজয়ী হন। ভোট বর্জনের পাশাপাশি বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্তু এরইমধ্যে জাহিদুর রহমান ছাড়াও জোটের সিদ্ধান্ত না মেনে সংসদে শপথ নেন ধানের শীষ প্রতীকে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী মোকাব্বির খান।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।