সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বৈধ বা অবৈধ যাই বলি না কেন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে শপথ নিতে বলা হয়- ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুরাগ বিরাগের ঊর্ধ্বে থাকিব’। তাহলে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যে বেফাঁস কথা বললেন তাকে যদি অপমানজনক ব্যবহার করা হয় তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না এখানে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন বলে আমি মনে করি।’’
শনিবার ( ৪ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়া আদর্শ একাডেমির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দবার মাহবুব বলেন, ‘লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্দ হয়েছেন। কারণ তারেক রহমান নাকি তার লন্ডন সফরে বাধা সৃষ্টি করেছে যে তিনি হোটেল পাচ্ছেন না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারেক রহমান যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। এতে আমরা দেখতে পেলাম আগেও আমরা যা বলেছি বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আটক করে রাখা হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই আইনজীবি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বের করতে হলে তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচাতে হলে এবং নেতা-কর্মীদেরকে জেল থেকে বের করতে হলে রাজপথ উত্তপ্ত করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা যদি একবার রাজপথে নামে তাহলে লক্ষ লক্ষ জনতা রাজপথে নামবে।’
তিনি বলেন, ‘দিন তারিখ ঠিক করে না, একবার রাজপথে নামুন হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করুন, দেখবেন এই সরকারের পায়ের নিচের মাটি থাকবে না।’
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এমনি এমনি মুক্তি পাবেন না। তাঁর মুক্তি পেতে হলে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে আর না হলে রাজপথে নামতে হবে। তাই আসুন যারা যারা অতীতে ছাত্র আন্দোলন করেছিলেন সে নেতাকর্মীদের ডেকে রাজপথে নামি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আজম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কৃষক দলের আহ্বায়ক সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, মৎসজীবি দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।