আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জেল কোড অনুযায়ীই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইফতারের খাদ্যসামগ্রী দেয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে তো বিএনপির রাজনীতি করার কিছু নেই। ৩০ টাকার ইফতারে বেগম জিয়া যদি অসন্তুষ্ট হন যদি কষ্ট পান তাহলে আমরা কর্তৃপক্ষকে বলে উনার জন্য অতিরিক্ত ইফতারের ব্যবস্থা করবো।’
বুধবার (২৯ মে) আগারগাঁওয়ে মেট্রোরে অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রমজান মাসে ইফতারটাও ধর্মীয় বিষয়। ইফতারে খুব বেশি টাকার খাদ্যসামগ্রী মানুষ ব্যবহার করে বলে আমার জানা নেই। এটা নিয়ে একটা পলিটিক্স হবে প্রত্যাশা করা যায় না। কিন্তু খালেদা জিয়ার ইফতার নিয়েও বিএনপি রাজনীতি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ইফতার জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। এখন জেলে থাকলে তো জেল কোড মেনে নিতেই হবে। সে আমরা যেই হই না কেন- কয়েদি সুবিধা ও অসুবিধা জেল কোড অনুযায়ী পাবেন। এই ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই চালু। জেল যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন থেকেই জেল কোড অনুযায়ী রোজা ও ইফতার হচ্ছে। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে না। রাজনীতি হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সেটিই করেছে।’
জেল কোড অনুযায়ী কারাবন্দি খালেদা জিয়ার ইফতারের জন্য ৩০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে খালেদা জিয়ার সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্যও ৩০ টাকার ইফতারসামগ্রী বরাদ্দ রাখে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি তারপরও বলি, এই ৩০ টাকার ইফতার খেতে বেগম জিয়া যদি অসন্তুষ্ট হন এবং তাঁর চাহিদার তুলনায় যদি একেবারেই কম হয় তাহলে আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে পারি- বেগম জিয়ার জন্য অতিরিক্ত ইফতারের ব্যবস্থা করতে। এটা নিয়ে রাজনীতি ও বিতর্ক করার কিছু নেই। ইফতারের খাওয়াদাওয়া নিয়ে যদি বেগম জিয়ার কষ্ট হয় তাহলে আমরা উনার জন্য অতিরিক্ত খাবারের ব্যবস্থা করবো।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় বিরোধীদলের চোখে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করে। দেশের জনগণ পরিস্থিতিটা কিভাবে মেনে নিচ্ছে সেটা হলো বড় কথা। আজকে দেখুন রাস্তার অবস্থা, মানুষ যাত্রা নিরাপত্তা চায়, স্বস্তি চায়। এই বিষয়টা এই মুহূর্তে ঘাটতি হচ্ছে বলে জানা নেই। বাংলাদেশে এমন কোনও ঘটনা বর্তমানে ঘটছে না যেটার জন্য পরিস্থিতিটাকে ভয়াবহ বলা হবে। আমার বিশ্বাস দেশের অবস্থা আরও উন্নত হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে শপথ নেননি। আবার বগুড়ায় তার পরিবর্তে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এটা কি সংসদে উচ্চ মেসেজ দিতে পারবে? ফখরুল ইসলাম সাহেব শপথ নিয়ে সংসদে গেলে ঘরে ও বাহিরে আন্দোলন জোরদার করতে পারতেন। আপনাদের (ফখরুল) এই দ্বিচারিতার জবাবটা কে দেবে? আপনি যোগ দিলেন না, অথচ আপনার দলের আরেকজন মনোনীত হচ্ছেন।’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘আপনি (ফখরুল) সরকারকে একনায়ক কেন বলছেন। একনায়কের শাসন চললে আপনি সংসদে থেকে এই কথাটা বলতে পারতেন। আপনি নিজেই তো দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ গণতন্ত্র বা বিরোধী দলের ভূমিকা রাখছেন না।’