বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নাইকো দুর্নীতির মামলার চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ জুন ঠিক করেছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের কারাভবনে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এ মামলায় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চার্জগঠন থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, জিয়া উদ্দিন জিয়া চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করে বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি কারা হেফাজতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে আসবেন। তার অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি বেআইনি।
শুনানি শেষে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৩ মে চার্জ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে কারা কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।