তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ঈদের আগে বা পরে কখনোই আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব না, শাস্তিপ্রাপ্ত অপরাধীর বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে, সরকারের কিছু করার নেই।’
রবিবার (২ জুন) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার উপকমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঈদের পর বিএনপি’র আন্দোলন ও বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি গত ১০ বছর ধরে ঈদের আগে-পরে, গরমের পরে, শীতের আগে- এমন বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের কথা বলে আসছে, আসলে কখন তাদের আন্দোলন হবে, তা কেউ বলতে পারে না। এসব বলে বিএনপি নিজেদের আর হাস্যস্পদ না করাই ভালো। আর এটা স্পষ্ট যে শাস্তিপ্রাপ্ত কোনো অপরাধীকে মুক্তি দেবার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই, আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে। তাই বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে সম্ভব না।’
এ কে খন্দকার তার লেখা গ্রন্থে ভুলের জন্য জাতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, তার এ বোধোদয়ের জন্য ধন্যবাদ জানান সরকারের এ মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকলেও নিয়মিত দেশের সাথে যোগাযোগ রাখছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান ও ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করতে দেশের বাইরে থাকলেও তিনি নিয়মিত মন্ত্রিসভা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের সকল খবারাদি রাখছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
‘পণ্যের যথেষ্ট মজুদ ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপের মাধ্যমে এবার রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি না পাওয়া, খাদ্যে ভেজালরোধ এবং ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সক্ষমতা প্রশংসাযোগ্য’ বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিপুল উন্নয়ন করেছে সরকার। ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করায় এবার ঈদে মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি যাওয়া আসা করতে পারছে।’
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সকল গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তথ্যমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী (বিটু) প্রচার উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।