সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। পরিবহন মালিকদের লোভ সীমা ছাড়িয়েছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাস মালিকদের বলেছি, সংযমী হোন।’
আজ সোমবার (৩ জুন) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ৪ ঘণ্টায় যাচ্ছে। আমরা বহুদিন পর স্বস্তির জায়গায় এসেছি। এই স্বস্তিদায়ক যাত্রা আগামীদিনেও রাখতে চাই। শুধু ঈদ কেন, সারা বছরই রাস্তায় স্বস্তি থাকবে, এটাই জনগণ আশা করে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা নেই। এটা ফিরিয়ে আনাই আমাদের সরকারের চ্যালেঞ্জ। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। জনগণ ভুক্তভোগী। আমরা এটার প্রতিকার করব। পরিবহন মালিকদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাদের লোভ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, কথায় কাজ হলে দেশ আগেই সোনার বাংলা হয়ে যেত। প্রবলেম আমরাই তৈরি করি। সততা নিয়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতিহাসে এমন স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা হয়নি জানিয়ে কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক করা।
‘ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে মোবাইল কোর্ট কাজ করছে। দুরপাল্লার বাসের মধ্যে শাহ ফতেহ আলী, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন ও মানিক এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, রাজধানীর ভেতরে সায়েদাবাদ টার্মিনালে একুশে পরিবহনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে মোবাইল কোর্ট। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঈদে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র অনুরোধে ৭০টি আর্টিকুলেটেড বাস দিয়েছে বিআরটিসি। এসব বাস গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর বিরোধীদলের অনেকেই সৌজন্যবোধ থেকে দেখা করতে গেছেন। সামাজিক সৌজন্যবোধ বিলুপ্ত হলে গণতন্ত্রে অবনতি ঘটবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা সম্পুর্ণ আদালতের বিষয়। বিএনপি অন্যতম বড় দল হলেও তারা সরকার ও আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।