রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এবং রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তদারকিসহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ও সিভিল সোসাইটিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের অনারারি কনসাল জেনারেল এবং বিদেশে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেলদের চিঠি দিয়ে এ অনুরোধের কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

চিঠিতে তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরসহ ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালের মতো মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসরণ করে নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য দৃশ্যমান সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের চরম অনাগ্রহের কারণে এখনও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বদেশে প্রত্যাবাসন শুরুর কার্যক্রম অনিশ্চিয়তার মধ্যেই আছে।

অনেক চ্যালেঞ্জ ও বাধা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনায় এই অসহায় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার মতো অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বলেও চিঠিতে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এ পর্যন্ত দুদেশের শীর্ষ পর্যায়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক হলেও মিয়ানমারের দিক থেকে রোহিঙ্গাদেরে ফিরিয়ে নিতে আশাব্যঞ্জক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।