সাংবাদিকের নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই এই ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদপত্রের মালিক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড নিয়ে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই, অচিরেই ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হবে, বিষয়টি আর ঝুলিয়ে রাখা যাবে না।‘
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যম আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, সেটি চূড়ান্ত হলে টেলিভিশনকেও ওয়েজেবোর্ডের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
তবে নবম সংবাদপত্রের ওয়েজবোর্ড বাস্তবসম্মত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। বিবৃতিতে তারা নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবসম্মত নয় বলে মত প্রকাশ করেন।
বিবৃতি বলা হয়, সপ্তম ও অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডও এভাবে একতরফাভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। জুন ২০০৮ সালে সপ্তম মজুরি বোর্ডে মূল বেতনের ৮৯.৬% বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে অষ্টম মজুরি বোর্ডে বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৭৫%। যে কারণে গুটিকয়েক পত্রিকা ছাড়া অন্যরা অষ্টম মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এ অবস্থায় নবম (২০১৯) মজুরি বোর্ড কমিটি ৮৫% বেতন বৃদ্ধিসহ একটি অবাস্তব সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অতীতে যে গুটিকয়েক পত্রিকা মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন করত, তারাও এখন বাস্তবায়ন করতে পারবে না। নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) নবম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রস্তাব বাস্তব নয় বলে মত প্রকাশ করেছে।