সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ভাগ্নে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে, তিনি উদ্ধার হয়ে যাবেন। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও আওতাধীন দফতর বা সংস্থার মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সোহেল তাজ সাহবে ঘোষণা দিয়েছেন তার ভাগ্নেকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমি মনে করি তিনি যদি কোনোখানে গিয়ে থাকেন তাহলে ফিরে আসবেন। না হলে জিডি অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তাকে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এরকম শব্দ আমি শুনিনি। আমি এগুলো শুনিনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ আমাকে ফোন করে বলেছেন এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছে। আমি শুনে পুলিশ কমিশনারকে যা বলার বলে দিয়েছি। তিনি কাজ করছেন। হয়তো তার খোঁজ পাওয়া যাবে এবং তিনি বেরিয়ে আসবেন।
তিনি বলেন, দুটোই তো হতে পারে- তিনি কোনোখানে গিয়ে থাকতে পারেন বা (তাকে কেউ) নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। তিনি উদ্ধার হয়ে যাবেন, যেহেতু পুলিশ প্রক্রিয়া শুরু করেছে’ বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের পদায়নের চিন্তাভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আগে ওসি হতেন একজন এসআই। এখন ওসি হন একজন প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসার। উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া এটা তো একটা রুটিন ওয়ার্ক- এটা তো হবেই। আমরা সব সময়ই সবকিছুকে অ্যাডপ্ট করছি আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের যখন যেটা প্রয়োজন হবে, মনে করব করা উচিত আমরা সেটা করছি জনস্বার্থে।
তিনি বলেন, আমরা ডিপার্টমেন্টে কোথায় কী করব বসে সিদ্ধান্ত নিয়েই করছি। যেটা বললেন…আমি আগেই বলেছি চলমান প্রক্রিয়া। এখনই যে এগুলো সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, বাস্তবায়ন হচ্ছে- এই রকম কিছু এখনও হয়নি।
ডিআইজি মিজানকে এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারাতো সবই দেখছেন। ডিআইজি মিজান অলরেডি সাসপেন্ড হয়েছে, ওএসডি হয়ে পড়ে রয়েছে। এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সব জানেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আইনি প্রক্রিয়া চলছে, আইন অনুযায়ী তার শাস্তির বিধান হচ্ছে।