আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির টিকে থাকায় আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। তাই তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা উচিত।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন।
৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন যে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন যেন জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগ ৭০বছরে পড়েছে- এটা শুধু আওয়ামী লীগের গর্ব নয়। এটা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গর্ব। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যারা ভালো করতে পারেন নাই। নানান সময়ে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গেছেন, আমাদের এখানে অপাঙক্তেয় হয়ে গেছেন, তারা বিএনপিতে গিয়ে দলটা গড়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের তো আমাদেরকেই ধন্যবাদ দিতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির টিকে থাকায় আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে। তাই তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা উচিত। ’
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দেশের রাজনীতিতে যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে সেভাবে প্রস্তুতি নিতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নওফেল।
নওফেল আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় ভাগীদার হওয়ার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে নাই বলেই ৭০বছর আসতে পেরেছে। যদি তারা শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি করত এবং সরকারের সর খাওয়ার রাজনীতি করত, আওয়ামী লীগ ৭০ বছর টিকতো না। দলটি আদর্শের রাজনীতি করে বলেই ৭০বছর টিকে আছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, কাদের খান, কোষাধক্ষ্য ওয়াকিল উদ্দিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।