পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে তিনি একথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দেওয়ার জন্য যে যে ফরমালিটিস প্রয়োজন সেগুলো আগে আমাকে করতে হবে। তা না হলে এই বিচারের ফাঁক-ফোকর দিয়ে সে আবার বের হয়ে যেতে পারে। তার জন্যই আমাদের অফিসিয়াল ফরমালিটিস যেটা একটা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া, সেগুলোর যে সমস্ত উপাদান প্রয়োজন সেগুলো আমাদের কালেকশন করেই দিতে হবে।’
এ সময় ডিআইজি মিজান যেন আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারেন তা নিশ্চিতে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এর আগে গত ১৮ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ডিআইজি মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এখন অন্যান্য আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধানকালে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা বলেন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান। এমনকি একটি অডিও রেকর্ডসহ খন্দকার এনামুল বাছিরকে ঘুষ প্রদানের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন। আর এতে নিজেই বিপাকে পড়েন তিনি।
ডিআইজি মিজান দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপের দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন তিনি নিজে, অন্যজন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তকালে ঘুষ বাবদ ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন এনামুল বাছির।
ডিআইজি মিজানের দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২ মে পর্যন্ত দুই দফায় (প্রথমে ২৫ লাখ, পরে ১৫ লাখ) ঘুষের এই টাকা লেনদেন হয়েছে রমনা পার্ক এবং পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর কাপড়ের দোকানে। তিনি বলেছেন, দুদকের ওই পরিচালক ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এর মধ্যে অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা ছাড়াও তিনি তার সন্তানের স্কুলে আসা-যাওয়ার জন্য একটি প্রাইভেট কারও চেয়েছেন।
দুদকের ওই পরিচালক ঘুষের টাকা ব্যাংকে বেনামি অ্যাকাউন্টে রাখার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজান।