বিএনপির উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রথমে আমি বিএনপিকে অভিনন্দন জানাই।
তারা বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সেখানে সব কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় এখন অন্তত বিএনপি ইভিএম নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন করবে না।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এটা আবারও প্রমাণ হয়েছে বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী বেশ ভালো ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, শুরু থেকেই বিএনপি ইভিএমের বিরোধিতা করেছে। অথছ সেই ইভিএমের ভোটেই তারা বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলেছিল। নিশ্চয়ই এ নির্বাচন নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলবে না। এই নির্বাচনে বিএনপির জয়লাভের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণিত হয়, ইভিএমেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। অতীতেও আমাদের দেশে যেসব নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অবাধ সুষ্ঠু হয়েছে।’
গতকাল সোমবার বগুড়া-৬ (সদর) উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ১৪১ কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোট ধানের শীষে পড়েছে ৮৮ হাজার ৪২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১৯৮ ভোট।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) দেখানোর জন্য শুধু চেষ্টা করছি তা নয়, সরকারি সকল আয়োজন শেষ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র আমাদের টেকনিক্যাল টিম যাচ্ছে। তারা ২৭ জুন পর্যন্ত সেখানে থাকবে। তারা দেশে ফিরলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব জুলাই মাসে। একটি অনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সেখানে বিটিভি চালু হবে। সমগ্র ভারতবর্ষে বিনা ফিতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখা যাবে।’
বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাড়ে ১২ বছর আগেই এই বিষয়ে আইন পাস হয়েছে। অতীতে সে আইন প্রয়োগ হয়নি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর আমি সেই আইন প্রয়োগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেই মর্মে তাদের সাথে বৈঠকও করেছি। তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে যদি বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন দেয়া হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিদেশি কোনও চ্যানেল বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো প্রদর্শন করা।’