জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধান নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ডে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। একটি যৌক্তিক সমাধানের জন্য স্থায়ী কমিটির দুই নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ওই দুই নেতা সমাধানের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজও শুরু করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে দ্রুতই তা জানিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আন্দোলনকারী ছাত্রদল নেতাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়: ছাত্রদলের সঙ্কট সমাধানে আন্দোলনকারী ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ দুটি প্রস্তাব নিয়ে এগুচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
প্রথমত-ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের দিয়ে একটি কমিটি করা, যারা নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচনের তফসিল ঠিক রেখে কাউন্সিলের কার্যক্রম শেষ করবে। এক্ষেত্রে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের মধ্যে যারা বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে আছেন তাদের কমিটিতে রাখা হবে না।
অন্যটি হলো- বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন করা।
দুই প্রস্তাবকে সামনে রেখে সংগঠনটির সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিএনপিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠনে ছাত্রদলের কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন: ছাত্রদলের বিষয়ে যাদের দায়িত্ব রয়েছে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। ছাত্রদলের ব্যাপারে যাদের দায়িত্ব আছে, তারাই পরবর্তীতে আপনাদেরকে জানাবেন।
ছাত্রদলের সংকট সমাধানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নেতা জানান, ছাত্রদলের চলমান সংকট শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আপনারা জানতে পারবেন।
দাবি দাওয়া নিয়ে ছাত্রদলের বয়স্ক নেতারা শনিবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছিলো বিএনপিকে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন নেতারা। তবে গতকাল সংকট সমাধান বিষয়ে বৈঠক হওয়ার পর নয়াপল্টনে গত কয়েকদিনের মতো আর বিক্ষুব্ধ অবস্থা দেখা যায়নি।