সরকারকে দেশের মানুষের ‘রক্ত শোষণের যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের রক্ত শোষণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে বর্তমান মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার। চারিদিকে নৈরাজ্য ও হাহাকার ছাড়া এই সরকার আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি জনগণকে।
ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত করতে আবারও ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে এক চুলায় ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র লুটপাটের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেআইনিভাবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হলো, যা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক ও মনুষত্বহীন পদক্ষেপ। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মাশুল গুনতে হয় সাধারণ মানুষকে। গত ১০ বছরে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৬ বার। দেশের মানুষের রক্ত শোষণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে বর্তমান মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকার। চারিদিকে নৈরাজ্য ও হাহাকার ছাড়া এ সরকার আর কিছুই উপহার দিতে পারেনি জনগণকে। বিএনপির পক্ষ থেকে এ মূল্যবৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ সৃষ্টি হয়নি। অথচ সরকার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে বিশাল ভোগান্তিতে নিক্ষেপ করলো। বিএনপি মনে করে- সরকারের রাঘব বোয়ালদের পকেট ভারী করতেই গ্যাসের এ মূল্যবৃদ্ধি। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে বেশুমার দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান অবৈধ সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, গণবিরোধী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় সরকারের এ গণাবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশব্যাপী রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।