সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী আদিম সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও তাদের আগুনে নিক্ষেপ, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা, কিশোরীকে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ইত্যাদির মতো হত্যা ও ধর্ষণের এহেন গুরুতর অপরাধের ঘটনাগুলো সমাজে, সংবাদ মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও সরকারের টনক নড়ে না। কারণ সরকার নতুন করে আইয়্যামে জাহেলিয়াত চালু করেছে। দেশ পরিণত হয়েছে এক বর্বর রাষ্ট্রে। বালির বাঁধ দিয়ে প্রলয় ঠেকানো যাবেনা। চারদিকে আওয়াজ উঠেছে, বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় জনগণের অকল্পনীয় আন্দোলনে আপনাদের করুণ পরিনতি ঘনিয়ে আসছে।
রিজভী বলেন, গত বুধবার ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) ট্রেনবহরে হামলার সম্পূর্ণ বানোয়াট ও প্রহসনের সাজানো মামলায় বিএনপির ৯ জনের ফাঁসি, ২৬ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে একটি আদালত! যে ঘটনায় কেউ হতাহত হয় না সেই মামলায় ফাঁসি হওয়ার কোন আইন পৃথিবীতে আছে কিনা আমাদের জানা নেই। এই ধরনের রায় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে। ২৪ বছর আগে পরিকল্পিতভাবে শুধু তামাশা করার জন্য নিজ দলীয় লোকদের দিয়েই ট্রেনের কাছে ফাঁকা গুলির ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণ-ফাঁসির রায় প্রমান করে দেশ এখন দুঃশাসনের কালো রাতে আচ্ছন্ন।
আইন এখন কিতাবে আছে তবে বাস্তবে চলছে বণ্য-রাজের ন্যায় মুখের আইন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।