ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ব্যাহত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করা হয়েছে শুধুমাত্র সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য।’
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজের আবাসিক অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রানজে ত্রিঙ্কেরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডিয়ান হাইকমিশনারও এই বৈঠকে অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই এই আইনের অপব্যবহার আমরা হতে দিবো না। সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা করব।’
ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ওনাদের কিছু কনসার্ন ছিল। সেই কনসার্নগুলোর অগ্রগতি জানার জন্যই মূলত ওনারা এসেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ মূলত আইনটির ৪৩ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি ওনাদের কথা শুনেছি এবং এটার ব্যাপারে সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করব বলে তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি। এছাড়া এই আইনের বিধিমালা প্রণয়নের সময় এ বিষয়ে আবারও তাদের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছি।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে কেই যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেটা রোধে আমরা সকলের সাথে সহযোগিতা করব এবং সেই ব্যবস্থা করব। আর আইনটির যে ধারা নিয়ে স্টোক হোল্ডারদের কিছু অংশ আপত্তি জানাচ্ছে সেটার ব্যাপারে আমরা দেখব।’