চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ৫৫ দিনের মাথায় দিতে পারায় খুব খুশি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকেই ঠিকমতো কাজ করছে বলেই সময়মতো ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।
আজ বুধবার গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর পাসের হার ৭৩.৯৩ ভাগ। এটা ভালো। আশা করি, সামনে পাসের হার আরও বাড়বে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ফল দুটোই যেন সময়মতো হয়, যাতে তাদের সময় নষ্ট না হয়। তারা যেন সময়মতো ভর্তি হতে পারে। এর জন্য ৬০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এর মধ্যেই পরীক্ষার ফল দিতে হবে এবং তা সময়মতোই হয়েছে। এর জন্য প্রতিটি বোর্ড, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে সুফল পেয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা সমাজকে উন্নত করতে হলে, একটি দেশকে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
এর আগে বুধবার সকাল ১০ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার সারা দেশে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৩ জন। এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা গত ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ১২-২১ মে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।