জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ইন্তেকাল করায় শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা করলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন নিশ্চিত করতেই জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিবে। এখানে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে না।’
শনিবার (২০ জুলাই) রংপুরে অনুষ্ঠিত মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ও মার্কিন দূতাবাস। তারা বলেছে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ জন্য তিনি মার্কিন দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিন বলেন, ‘সরকার দেশে বন্যা দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগকে ভিত্তিহীন। বিএনপি শুধু সমালোচনা করতে জানে, কাজ করতে জানে না।’
নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদী এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো স্থান নেই। যারা দলের জন্য কাজ করবে তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। নেতৃত্ব নির্বাচনে ভুল করলে চলবে না।’
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর রংপুরে অনুষ্ঠিত হলো মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমুল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল ১১টায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এর আগে একাধিকবার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হয়নি। ফলে ৬ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে নগর যুবলীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের ত্যাগী পরীক্ষিত কর্মীরাই যুবলীগে পদ-পদবি পাবেন। রংপুর মহানগর শাখা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রংপুর মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাশার। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান বক্তা ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য এ কে এম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলসহ জেলা ও মহানগর নেতা-কর্মীরা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান।
এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের ১৫ জন করে মোট ৪শত ৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর আগে ২০১২ সালে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহবায়ক, ইসমাইল হোসেন সাজুকে ১নং যুগ্ন আহবায়ক ও মুরাদ হোসেন, হারুন অর রশীদ, শ্রী হারাধন রায় হারা, সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলমকে যুগ্ন আহবায়ক করে কমিটির অনুমোদন দেয় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।