দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে আবারো পিছিয়েছে ক্ষমতাসীন আওযামী লীগের পুরাতন সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান। সর্বশেষ সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সকলের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে আরো দুবার পেছানো হয়েছে এই কর্মসূচি। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে এটা পালনের কথা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১ জুলাই থেকে সারাদেশে প্রথমবারের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে সে তারিখও পেছানো হয়। গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২১ জুলাই থেকে সারা দেশে নতুন ভোটারদের আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম শুরু হবে। তবে নির্ধারিত দিনে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। ওই সব অঞ্চলে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ৬টিম কাজ করছে। দেশের এমন দুর্যোগকালীন সময়ে দলের পক্ষ থেকে সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগস্ট মাস জুড়ে থাকবে শোক কর্মসূচি। রীতি অনুযায়ী এই মাসে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে না আওয়ামী লীগ। তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ২০ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবীকে সদস্য করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেন। ২০১০ সালে সদস্য সংখ্যা সোয়া ২ কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েও পুরনো সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে সে বারও এই কার্যক্রম নানা কারণে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। তারও আগে ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করে দলটি।