বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে ৫টি আলাদা ত্রাণ কমিটি গঠন করে মঙ্গলবার থেকেই কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যলয়ে ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির বৈঠকের পর দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলের এই কথা জানান।
বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত হন এবং ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে যথাযথ নির্দেশনাও দেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সারাদেশে যে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা দলের জাতীয় ত্রাণ কমিটি প্রতিটি বিভাগে ত্রান কমিটি পরিচালনার জন্য একটি করে কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটিগুলোর নেতৃত্ব দেবেন দলের সিনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং এবং তাদের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ। এছাড়া প্রতিটি জেলাও একটি করে ত্রাণ কমিটি থাকবে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে রিলিফ কমিটি কাজ শুরু করবে। এই টিমের সাথে একটা করে মেডিকেল টিম থাকবে, আমরা ভ্রামমান মেডিকেল ক্যাম্প করব।
এছাড়া রংপুর বিভাগে ত্রাণ কমিটি আগামী ২৭ জুলাই লারমনিহাট ও কুড়িগ্রাম এবং ২৮ জুলাই গাইবান্ধায় ত্রান কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ত্রাণ কমিটি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ময়মনসিংহে, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী ও খন্দকার মোক্তাদির সিলেটে, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রংপুরে ও খায়রুর কবির খোকনকে ফরিদপুর বিভাগের আহবায়ক করে বিভাগীয় ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু, সাখাওয়াত হাসান জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল লতিফ জনি, হালিমা নেওয়াজ আরলি, রফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম আলীম, মইনুল হাসান সাদী, আমিনুল ইসলাম, তাজভীরুল ইসলাম, রিয়াজউদ্দিন নসু, আবদুল খালেক, জাকির হোসেন বাবু, রাবিকুল করীম পাপ্পু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।