চলমান বন্যায় দেশের ২৮ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৫ জন এবং ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানায়, বন্যায় ৪৫টি গবাদিপশু ও ২২ হাজার ৩৩৯টি হাঁসমুরগি মারা গেছে। ছয় হাজার ৫৩টি পরিবার ও ৩৩ হাজার ৭৩৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে ২৮টি জেলা, ১৬৩টি উপজেলা, ৪৯টি পৌরসভা ও ৯৬১টি ইউনিয়ন। এছাড়া আট হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যাকবলিতদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবাই ত্রাণ চান না। বেশিরভাগই বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ এবং দুর্যোগ সহনীয় বাংলাদেশ চান। যারা ত্রাণ চান, তারা দরিদ্র। তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কাজেই বন্যায় সবাই ত্রাণ পান না, এমন অভিযোগ সঠিক নয়।
এনামুর রহমান বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আল্লাহ না করুক, বন্যা যদি দীর্ঘায়িতও হয়, ভয়ের কোনও কারণ নেই।’
বন্যা দেখা দেয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলবীবাজার, নেত্রকোণা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর।