জেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি গ্রুপিং রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী রাজনীতিতে গ্রুপ হবে একটাই, সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনার গ্রুপ। মন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলাগুলোতে নেতার নামে যারা গ্রুপ তৈরি করেন, তারা দলের ঐক্য ভেঙে দিয়ে ফাটল ধরান। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
সোমবার দুপুরে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে উন্মুক্ত সম্মেলন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় নগরীর কবি নজরুল মিলনায়তনে গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন কাউন্সিলররা।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর অবশেষে সিলেট জেলা যুবলীগের বহুল প্রত্যাশিত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১১ বছর পর জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব ‘ভারমুক্ত’ হলো। সর্বশেষ ২০০৩ সালে গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ২০০৮ সালে পদত্যাগের পর ‘ভারপ্রাপ্ত’ দিয়ে চলছিল সংগঠনের কার্যক্রম।
এদিন বেলা ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, যুবলীগ একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন। এটি শৃঙ্খলা শেখার কারখানা। যুবলীগে ধান্দাবাজ-চাঁদাবাজদের স্থান নেই। এখানে মেধাবীদের জায়গা আছে। মেধাবীরাই যুবলীগে মূল্যায়িত হবে। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যুবলীগ করতে হলে আপনাকে মুজিব আদর্শের উত্তরসূরি হতে হবে। কারণ যুবলীগ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের জায়গা নয়; যুবলীগ শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড।
সিলেট জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসিন কামরানের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথি ইমরান আহমদ জাতীয় পতাকা এবং ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন প্রমুখ।