বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, খনিজ পদার্থ অন্বেষণে গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। উদ্যোগ নেওয়াও হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় পেট্রোসেন্টারে ‘বেঙ্গল বেসিনের পূর্ব ফল্ট বেল্টে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান এবং এর ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন , ২০২৩ সালের মধ্যে অনশোর ৭টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ১৪টি কূপ উন্নয়ন, ১৫টি কূপ ওয়ার্কওভার করা হবে। 2D/3D সার্ভে করার কাজও চলমান। Draft onshore Model PSC 2019 এবং Draft offshore Model PSC 2019 গত ২৪/০৭/২০১৯ তারিখে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি অনুমোদন করেছে। এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হলে অনুসন্ধান কার্যক্রম আরো বাড়বে। বিদেশি কোম্পানির সাথে বাপেক্সকে সম্পৃক্ত করে এর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুলে সাফল্য আসবেই। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বর্তমান সরকার দ্রুততার সাথে নেয়। দেশপ্রেম নিয়ে গ্যাস-তেল অনুসন্ধান চালালে অর্থের অভাব হবে না। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটকে আরো শক্তিশালী করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আরিফ মহিউদ্দিন সরকার। তিনি অত্র এলাকায় হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান ও সাফল্যের ঐতিহাসিক দিক উপস্থাপন করেন। ভাগ্য বা উন্নত প্রযুক্তি বা জ্ঞান-অভিজ্ঞতার কৌশল- কী দিয়ে এসব সাফল্য এসেছে তার পর্যবেক্ষণমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পাথারিয়া ৫ বা সিতাকুন্ড ৫ এর বিষয় পর্যালোচনা হতে পারে। High Pressure Zone-এর নিচে পরীক্ষা করলে সাফল্য কেমন হতে পারে, তা পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহল আমিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আজিজ হাসান বক্তব্য রাখেন।