বর্তমানে মশার যে ওষুধ রয়েছে, সেটি শতভাগ অকার্যকর এমন না, এটারও কার্যকারিতা রয়েছে। কিছু অংশ অকার্যকর। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন ওষুধ আমদানি করা হবে। প্রয়োজনে প্লেনে করে নতুন ওষুধ আনা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর শান্তিনগরে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ‘নগর কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু মোকাবিলায় মাঠে আছে, আমরা নগরবাসীর সাহায্য চাচ্ছি। নির্মাণাধীন ভবনগুলো চিহ্নিত করেছি। এখানে এডিস মশার লার্ভা বা প্রজননক্ষেত্র যেকোনো জায়গার তুলনায় অনেক বেশি। বার বার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও অনেক নির্মাণাধীন ভবন মালিক সর্তক হচ্ছেন না।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু নির্মূল করার জন্য যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন, তিনি আমাদর পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের সকল সংস্থা নগর কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় অবশ্যই ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব।’
মশা নিধনে নতুন ওষুধ আমদানির বিষয়ে বলেন, ‘নতুন ওষুধের ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে। নতুন ওষুধ আমদানিতে যেসব জটিলতা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে সেই জটিলতাগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠেছি এবং নিরসন করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও বেশি কার্যকর ওষুধ সংগ্রহ করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত নতুন ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছি, কোনো বিকল্প না থাকায় এই ওষুধ চালিয়ে যাচ্ছি।’
কত দিনের মধ্যে নতুন ওষুধ আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে আনা হবে। আবার সামনে ঈদের ছুটি। প্রয়োজনে যদি বিমানে করে ওষুধ আনতে হয় সেই ব্যবস্থা করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত (২৯ জুলাই) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শুধু চলতি মাসেই ভর্তি হন ১১ হাজার ৪৫০ জন ডেঙ্গু রোগী।.
মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢামেকে ৫৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়েছে মোট ২০১১ জন; যার মধ্যে শুধু জুলাইয়ে ১৮৫৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও এ বছরের জানুয়ারিতে তিনজন, (ফেব্রুয়ারি শূন্য) মার্চে চারজন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৮ জন, জুনে ১৩৫ ভর্তি হন। তবে জুলাইয়ের ২৮ দিনে একলাফে এ সংখ্যা ১৮৫৮ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।