বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। তিনি একইসাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর ২০১৬ সালে জাতীয় কাউন্সিলের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আতাউর রহমানকে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে আতাউর রহমান আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,‘৩২ নম্বরে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিবেশী ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর মতো বীরপুরুষ, সরল ব্যক্তিত্বের মানুষ আমি কখনো দেখিনি। তার দেশপ্রেম, নেতৃত্ব দেখে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়েছি। আমাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আতাউর রহমানের জন্ম ১৮ জুন, ১৯৪১ সালে নোয়াখালীতে। স্কুলে থাকাকালীনই সংস্কৃতি অঙ্গনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নটীর পূজা’ নাটক দেখে তার মঞ্চপাঠ শুরু।
ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আতাউর রহমান প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। এরপর ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আতাউর রহমান।
১৯৭২ সালে‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এর মাধ্যমে নাট্য নির্দেশনা শুরু, এরপর তিনি নির্দেশনা দেন বাদল সরকারের লেখা ‘বাকি ইতিহাস’। এর মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে নাটক প্রদর্শন শুরু হয়। এরপর নিজের দলে ও অন্য দলের হয়ে অসংখ্য নাটকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
মঞ্চ নাটকের নির্দেশনার পাশাপাশি আতাউর রহমান অভিনয়ও করছেন সমানতালে। রেডিও, টেলিভিশনেও রয়েছে তার সদর্প উপস্থিতি। এ ছাড়া নাট্য বিষয়ক বই, নাট্যসমালোচনা, উপস্থাপনা, শিক্ষকতা, টেলিভিশন নাট্যকার, প্রবন্ধকার, বক্তা সব ক্ষেত্রেই রয়েছে আতাউর রহমানের সরব পদচারণা।
২০০১ সালে নাট্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য একুশে পদক পান আতাউর রহমান।