চামড়া নিয়ে দরপতনের খেলায় মেতে ওঠা চক্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, চামড়ার উৎপাদন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ট্যানারি বন্ধের সুযোগ নিয়ে একটি চক্র চামড়া নিয়ে দরপতনের খেলায় নেমেছে। সরকার এই চক্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টায় রয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চামড়া শিল্পে রফতানি আয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে৷ এবার কিন্তু চামড়া উৎপাদনও বেড়েছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে যে পরিমাণ পশু জবাই হতো এখন তার চেয়ে দ্বিগুণ হচ্ছে৷ আগে ৫০ থেকে ৬০ লাখ পশু কোরবানি হতো, এখন হয় প্রায় এক কোটি। তবে সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বাড়েনি। আবার কিছু কিছু ট্যানারি বন্ধও হয়ে গেছে৷এই সুযোগে একটি মহল চামড়া নিয়ে দরপতনের খেলায় মেতেছিল। এটা নিয়ে ফখরুল সাহেবও রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। ’
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব অভিযোগ করেছেন সরকার পাট ও চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু দেশের পাট শিল্পকে ধ্বংস করেছে বিএনপি। ’
বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্তের সঙ্গে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত এবং পেছন থেকে যারা মদদ দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।’
সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব উমর ফারুক চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।