দীর্ঘদিন যাবত কারাবন্দি ও অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় গুলশানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করেন। এসে স্কাইপে যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঈদের আগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে জামিনের বিষয়টা এসেছিল হাইকোর্টে, সেখানে একটা নেতিবাচক আদেশ হওয়ার পর থেকেই আমাদের এই ধারণাটা দৃঢ় হয়েছে যে, বিচার বিভাগ স্বাভাবিক বা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছে না। সরকার বিচার ব্যাবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে করছে। সেক্ষেত্রে আইনিভাবে এটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে যে আমরা ন্যায় বিচার পাবো কিনা! সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য এবং তাঁর মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধন্ত গ্রহণ করেছি। যেসকল গণতান্ত্রিক দেশ আছে, আমরা তাদের অবহিত করবো। এবং অন্যায় ভাবে যে বেগম জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে, সে বিষয়টা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
কোরবানি ঈদে চামড়ার দামে ব্যাপক ধ্বস নামা সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের চরম উদাসিনতা ও ব্যর্থতায় এরকম হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ব্যক্তিরা সিন্ডিকেটে করায় এই অবস্থা হয়েছে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এখনও বিদেশ থেকে ওষুধ আসেনি দাবি করে রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থারও দাবি জানান ফখরুল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু