পার্শ্ববর্তী ভারত কখনোই বাংলাদেশের কোনো উপকারে আসেনি বরং তারা উপকার পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৯ আগস্ট) স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসিচব বলেন, ভারত আমাদের থেকে সবসময় উপকার পেয়েছে কখনও কোনো উপকার করেনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছি না। কারণ আমরা গত ১০-১২ বছরে শুনলাম- আওয়ামী লীগের সাথে ভারত সরকারের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে। তো এখন পর্যন্ত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমরা পাইনি। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমাদের কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। যেটা হয়েছে, ভারতের সমস্যার সমাধান হয়েছে। সেজন্য আমরা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’
‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত’- গতকাল রবিবার কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের করা এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরেই এই ইতিহাস তারা (আওয়ামী লীগ) বিকৃত করার চেষ্টা করছেন। এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কোনোমতেই, কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ইতিহাসে তা প্রমাণিত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জড়িত ছিল আওয়ামী লীগেরই লোকেরা। যারা পরবর্তিতে সরকার গঠন করেছে, পার্লামেন্টে গেছে।’
‘বিএনপি কোরবানির পশুর চামড়া কিনে ফেলে দিয়েছে’- শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের করা এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে কি, এরা তো দেশ চালাতে পারছে না। দেশ চালাতে তো সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। একটি অনির্বাচিত সরকার কখনোই দেশ চালাতে পারে না। তারা অবৈধ। জনগণের ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নেই। পার্লামেন্ট বলুন আর সরকারেই বলুন জনগণের প্রতিনিধি নেই। সুতরাং এই ধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলা ছাড়া তাদের তো আর কোনও কিছু করারও নেই।’
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এখন তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা, সমস্ত রাজনীতিক দলগুলোকে বিরাজনীতিকরণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া। রাজনীতি দূর করে দিয়ে তারা এখানে প্রভুত্ব করতে চায়। যেটা এই বাংলার মাটিতে কখনোই সম্ভব হবে না, এই দেশের মানুষ কখনোই তা মেনে নেবে না। দেশের জনগণ অবশ্যই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে। অতীতের মতো জনগণ আরও একবার গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।’
এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার সহ সংগঠনটির অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।