বিএনপির রাজনৈতিক ব্যর্থতা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশের মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’
সোমবার ( ১৯ আগস্ট) চলন্তিকার মোড়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ বস্তিবাসীর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে দেড় বছরে দেড় মিনিটের জন্য আন্দোলন করতে পারেনি। তারা আদালতে ব্যর্থ, তারা রাজপথে ব্যর্থ। এখন বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে গিয়ে নালিশ করা ছাড়া তার আর কোনও উপায় পাচ্ছে না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে, কান্নাকাটি করছে। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে এখন নাকি জাতিসংঘে যাবে বিএনপি। যে রাজনীতিতে কতটা দেউলিয়া সেটা এখন প্রমাণিত।’
বিএনপির সমালোচনা করে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে মানুষ যারা আজ (চলন্তিকা বস্তি) সহায়-সম্বলহীন সব কিছু হারিয়েছে, তারা আজ কথা শুনতে চায় না; ভাষণ শুনতে চায় না। তারা আজ সহায়তা চায়। তারা আজ পুনর্বাসন চায়। তারা আজ মানুষের মত বাঁচতে চায় এবং আমরা সেই ব্যবস্থাই ইনশাল্লাহ করবো। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব এখানে এসে বিষোদগার করে গেছেন। কি দিয়ে গেছেন, কি সাহায্য করে গেছেন? শুধু বক্তৃতা করে গেছেন!’
রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বর এলাকায় চলন্তিকা বস্তিতে শুক্রবারের অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা নিঃস্ব হয়েছেন পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার তাদের পাশে থাকবে। এই স্থানে ঘরবাড়ি নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পার্টি, আমাদের সরকার; আমাদের সংসদ সদস্য আপনাদের পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যতদিন পর্যন্ত আপনাদের সাহায্য দরকার আমরা করবো। পুনর্বাসন পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে আছে। আমাদের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা আপনাদের পাশে থাকবেন। আপনারা নিজেদের অসহায় ভাববেন না, শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে আছেন। একদিকে ডেঙ্গু অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ড এই এলাকার বস্তিবাসী মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্ট বয়ে নিয়ে এসেছে।’
এসময় তিনি উপস্থিত বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের আস্থা আছে শেখ হাসিনার ওপর, আস্থা আছে আপনাদের পাশে শেখ হাসিনা আছেন? এটা আপনারা বিশ্বাস করেন। ইলিয়াস মোল্লা আপনাদের আপন মানুষ, সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকে; এটা কি আপনারা বিশ্বাস করেন?’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২২মিনিটে মিরপুরের সেকশন ৭ এর চলন্তিকা বস্তিতে আগুন লাগে। এরপরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বস্তিতে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার আগুনে পুড়ে যায় ৭ নং চলন্তিকা বস্তি, আবাসিক কবিরের বস্তি এবং ৭ নং বস্তির প্রায় আড়াই হাজার ঘর। আগুন লাগার পর থেকে প্রায় সারা রাত ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও কোনো প্রাণহানি হয়নি।