নিরাপদ প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংক গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সোনালী ব্যাংকের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউর রহমান প্রধান। পলিটিক্স নিউজকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক আদেশ সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউর রহমান প্রধানকে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ করেছে সরকার।
তিনি এর আগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আতাউর রহমান প্রধান ১৯৮৪ সালে সোনালী ব্যাংকে ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সোনালী ব্যাংকে চাকরিরত অবস্থায় তিনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিন বছরের অধিক সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি সৃজনশীল কাজের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পাওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে আতাউর রহমান প্রধান পলিটিক্স নিউজকে বলেন, “সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এই ব্যাংকের জন্য কাজ করব।”
সোনালী ব্যাংক নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমি এর আগে দীর্ঘ ২৫ বছর সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ইতিপূর্বে দুটো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলাম। আমার মূল চ্যালেঞ্জ হবে ঋণে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনা, কোয়ালিটি ঋণ প্রদান করা, মন্দ ঋণগুলোকে সরকারের নীতিমালা অনুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আদায় করা এবং প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপদ ব্যাংক হিসেবে সোনালী ব্যাংককে গড়ে তোলা
দীর্ঘ ৩৪ বছরের ব্যাংকিং জীবনে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এবং স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকসহ মাঠ পর্যায়েও সততা, নিষ্ঠা এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আতাউর রহমান প্রধান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই সঙ্গে কৃতিত্বের সঙ্গে ডিএআইবিবি ডিগ্রি অর্জন করেন। চাকরি জীবনে আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, দুবাই, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত এবং থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকিং সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।