২০০৪ সালের ২১ শে আগস্টে তৎকালীন বিরোধীদলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধীর জনসভায় গ্রেনেড হামলার দায় রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ারও, তিনি তা এড়াতে পারেন না’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার একুশে আগস্ট সকালে ঢাকায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার স্মারকবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘একুশে আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড হামলা শুধু মর্মান্তিকই নয়, জাতির জীবনে এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কারণ তৎকালীন বিএনপি সরকার এ নৃশংস হামলার তদন্ত ও বিচারে পদে পদে বাধা দিয়েছে। এমনকি আহতদের উদ্ধারকারীদের ওপরই ছিল পুলিশের লাঠিচার্জ। হামলার বিষয়ে সাজানো তদন্তে জগাখিচুড়ি রিপোর্টে সেসময় বলা হয়, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এই হামলায় জড়িত, বিচারে সাজানো হয় ‘জজ মিয়া’ নাটক।’
‘বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তার পুত্রের পরিচালনায় এ হামলা হয়েছে’ উল্লেখ করে গ্রেনেড হামলার ৪০টি স্প্রিন্টার শরীরে বয়ে নিয়ে চলা তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে দেয়া কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তৎকালে ডিজিএফআই তদন্ত করতে চাইলে তাদেরকে ধমক দেন বেগম জিয়া। সেকারণে এ হামলায় তারও দায় রয়েছে, যা তিনি এড়াতে পারেননা।’
মন্ত্রী এসময় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সকল আহতদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামাতচক্র এখনো বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে ও চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।’