কৃষিমন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নেপথ্যে ছিল। দিবালেকে ১৩ টি গ্রেনেড মেরে মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্টের পরিকল্পনা হয়েছে হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার পরিচালনায়। এরকম নিশংস হত্যাকারীর মদদ দাতা খালেদা জিয়াকে আন্দোলন করে জেল থেকে বের করা যাবে না।
আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত জননেত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মো: মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদুন্নাহার লাভলী,কৃষি ও সমন্বয় বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রী বলেন; পাকিস্তানের দালালরা কোনদিন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পাওে নাই। আর ২১ আগস্টে ব্যবহৃত গ্রেনেড গুলো ছিল পাকিস্তানের তৈরী। এতই বোঝা যায় মা ও ছেলের রচনা। ৭৫ এর পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও আদর্শকে ধ্বংশ করতে,গণতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে ২১ আগষ্টের হামলা। পৃথিবীর এই নজির আর কোথাও নেই। তখনকার প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে এ পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালায় তারেক ও তার মা।
নানা প্রতিকূলতা,জীবন মৃত্যুও মাঝখানে থেকেও শেখ হাসিনা আজ দেশকে বিশ্বেও কাছে এক উদাহরণ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বিদেশিরা আসে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনতে। কৃষক লীগককে আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হতে হবে। কৃষকের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। কৃষকের দল আওয়ামী লীগ তাই মন্ত্রণালয়ের সাথে কৃষক লীগককে সম্পৃক্ত করা হবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাক বা না থাক, দেশ বিরোধী,মানবতাবিরোধী নিকৃষ্ট তারেক জিয়াদের ক্ষমতায় যেতে দেওয়া হবে না। তার জন্য প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌছে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মূল মন্ত্র। আমার গ্রাম আমার শহর তখনই বাস্তবায়ন হবে যখন কৃষক লীগ শক্তিশালী ভুমিকা রাখবে। এসময় তিনি কৃষক লীগের কাছে সহায়তা চান মন্ত্রী। আপনাদেও আমাদেও সকলের পবিত্র দায়িত্ব হবে মুক্তিযুদ্ধেও বিরোধীদের এদেশ থেকে বিতারীত করতে হবে।
এর আগে তিনি ক্যাপ্টেন মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ওয়ালটনের সৌজন্যে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিট ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন।