দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার করতে ১১১টি সুপারিশ করেছে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত কমিটি। এ সুপারিশ বাস্তবায়নে শিগগিরই টাস্কফোর্স করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে সেতুমন্ত্রীর কাছে সুপারিশযুক্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এই কমিটিতে পরে আরও আট সদস্যকে নেওয়া হয়। কমিটি সাতটি সভা করে একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রতিবেদনে ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদি ৩২টি ও দীর্ঘমেয়াদি ২৯টি। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সড়কে চলাচলের পরিবেশ, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসতর্কতা, সড়ক নির্মাণ প্রকৌশলগত ত্রুটি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তর ও সংস্থায় দায়িত্ব পালনে অনীহা, সড়কের পাশে বসবাসরত জনগণের অসচেতনতা এসব বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।
আজকের সভায় প্রতিবেদনটি গ্রহণ করলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেননি জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা হবে বিআরটিও ভবনে। ওই সভায় ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। ওই টাস্কফোর্সই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন শুরু করবে।’
এসময় কমিটির সুপারিশ ও সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চান বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা তৈরিতে কাজ করছে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই মুহূর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি আগামীকাল দেশে ফিরবেন। ফিরে তিনি এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।’