‘ঘর ও ফসলকাটা দুর্নীতিবাজদের ধ্বংস করতে পারলেই সোনার বাংলা হবে’

হাসানুল হক ইনু

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ রয়েছে। তাদের ধ্বংস করতেই পারলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

রোববার রাজধানীর প্রেস কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শাহবাগ থানা শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা গড়ার পথে একটা বাধা লুটেরা ও দুর্নীতিবাজরা। দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা রয়েছে। তারা রাষ্ট্র, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে জিম্মিী করে রেখেছে। এরা ১৫ আগস্টে মতো ঘর কাটা ইদুর। এরা এখন ফসল কাটা ইদুর। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ১৬ হাজার ঘরকাটা ও ফসলকাটা ইদুর ধ্বংস করতে কঠোর হতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবো।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতিয়তাবাদে কোনো আপোস করা যাবে না। ইবলিসের সঙ্গে ঐক্য হয় না। কৌশল করে ইবলিসের সঙ্গে হাত মেলানো যাবে না। রাজনৈতিক মোল্লাদের সঙ্গেও কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।

১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে খুনিরা বাংলাদেশের জাতি সত্তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান পন্থার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো। সংবিধান কাটা ছেড়া করা হয়েছিলো। ৭১’র ঘাতকেদর রাজনীতিতে টেনে নিয়ে আসা হয়। তাদের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। খুনিদের রক্ষা করা হয়। বাংলাদেশে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ব্যবস্থা চালু করা হয়। রাজনীতিতে একটি মহাচক্রান্ত করা হয়। এর মূলপরিকল্পনাকারী ছিলো খন্দকার মোস্তাক। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা ছিলো জল্লাদ। এর সঙ্গে জিয়াসহ যারা জড়িত ছিলো তাদের সম্পের্কে জনগণের ধারণা রয়েছে। তাই দেশবাসির জানার অধিকার আছে, বঙ্গবন্ধুকে কারা হত্যা করলো। বঙ্গবন্ধুর আপনজনরা কিভাবে তাকে হত্যা করলো। এই আপনজনরা বঙ্গবন্ধুর বাসায় থাকতো ঘুমাতো। ফারুক, রশিদ ও ডালিমরা সবাই শেখ কামালে ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলো। এমনকি শেখ কামালের বিবাহ অনুষ্ঠানে খন্দকার মোস্তাক উকিল বাবা ছিলেন। আওয়ামী লীগের এতো নেতা থাকতে মোস্তাক কিভাবে উকীল বাবা হলেন। সোনার বাংলা গড়ার কাজটা ১৫ আগস্ট এরা বন্ধ করে দিয়েছিলো।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরত যাত্রায় আছি। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এখনও আগুণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। ওরা কোনঠাসা হয়েছে। কিন্তু আত্মসমর্পন করেনি। এখনও যুদ্ধাপরাধীদের ত্যাগ করেনি। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের অন্ধকার থেকে টেনে তুলে নিয়ে আসতে পেরিছি। বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথে চালিত করতে পেরেছি।

সংগঠনের সহ-সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক টুকু, এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।