রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদকের পর সভানেত্রী শেখ হাসিনাও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানালেন জাতীয় পার্টির নেতারা। ক্ষমতাসীন দল ছাড় দিলে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সহজে জয়লাভ করবেন বলে মনে করছেন তারা। অন্যদিকে নির্বাচনে কাউকেই ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি।
রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছুটা জমে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। দুই ভাইয়ের লড়াইয়ের পাশাপাশি আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাদ যাচ্ছেন না বিএনপি প্রার্থীও।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের আসনে তার ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। অন্যদিকে এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ মনোনয়ন না পেয়ে হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর বিএনপি প্রার্থী করেছে জিয়াউর রহমানের আমলের মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমানকে। যিনি আবার জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি শফিকুল গণি স্বপনের বোন। আর এতেই জমে উঠেছে জাতীয় পার্টির ঘাটি খ্যাত রংপুরের সদর ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গড়া আসনটির নির্বাচন।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিলেও জোটের হিসেব-নিকাশে তা প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা বেশি। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান শেষে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন নিয়ে একইদিন রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় জাপা নেতাদের। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়ার কথা জানান তারা।
তবে, বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনও ভিন্নতা নেই। বরং জাতীয় পার্টি সরকারেরই অংশ। নির্বাচন স্বচ্ছ হলে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি নেতারা।
গেল ১৪ জুলাই জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হয় রংপুর-৩ আসন। ৫ অক্টোবর ভোটের দিন রেখে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনেই চূড়ান্ত হবে নির্বাচনী লড়াইয়ে কারা থাকছেন।