দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার বিএনপি নেতাদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বগলের তলায় গন্ধ নিয়ে বিএনপি অন্যের গন্ধ খুঁজছে। অথচ বিএনপির আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে সমস্ত ব্যবসা থেকে ১০ শতাংশ করে কমিশন নেওয়া হয়েছিল।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের সমালোচনা করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে দলের নেতানেত্রীরা দেশকে এমন দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত করেছিল, তারা তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকারই রাখেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলব, অভিযান চলছে অনিয়মের বিরুদ্ধে। আপনারা বরং সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং নিজেদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত টাকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের নেত্রী সাদা করেছিলেন জরিমানা দিয়ে। কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। দুর্নীতির দায়ে তারেক রহমানের ১০ বছর সাজা হয়েছে। খালেদা জিয়া এতিমখানার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে রেখেছেন। এ কারণেই তার সাজা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার হাতে-পায়ের যে ব্যাথা এটি তার বহু পুরনো সমস্যা। এই শারীরিক সমস্যা নিয়েই বেগম খালেদা জিয়া দেশের দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দুইবার বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।