বিত্ত-বৈভবের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কোনো মোহ নেই : অর্থমন্ত্রী

বিত্ত-বৈভবের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কোনো মোহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ, দেশের সব পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। তার নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ অন্য দেশকে বলছে বাংলাদেশকে অনুসরণ করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী এখন বিশ্বনেতা। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ এক নম্বর। বিশ্বের ঋণ নেওয়ার দিক থেকেও আমরা পিছিয়ে।

আজ শনিবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে পৃথিবীর অর্থনীতিতে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে তাতে বিশ্বের মধ্যে আমরা এক নম্বরে। এটি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির এই ভিত করে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ২৬তম দেশে হিসেবে আবির্ভূত হবে। আর আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে উন্নীত হবে, এমন গতিশীলতা আসবে। যার ওপর ভিত্তি করে আমরা উন্নত হবো।

তিনি আরো বলেন, দেশে ২১ শতাংশ দারিদ্র থাকলেও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের দারিদ্রসীমা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। তখন কোনো দরিদ্র মানুষ থাকবে না। আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা ২০টি দেশের একটি হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় বলা হতো বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যত নেই। বাংলাদেশ নামের দেশটি কখনো অর্থনীতিতে এগুতে পারবে না।একদিন বাংলাদেশকে নিয়ে যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন, ব্যঙ্গ করে কথা বলতেন তারাই আজ বলছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি উজ্জল নক্ষত্র। আর এটি সম্ভব হয়েছে আমরা একজন ভালো নেতা পেয়েছি। তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমাকে অনুসরণ করো কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমি স্কুলে বেতন দিতে পারিনি তাই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগে তিনবার খাতা থেকে নাম কাটা গেছে। তারপর গ্রামের মানুষ বেতন দিলে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছি। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাতেও বেতন দিতে পারিনি। গ্রামের মানুষ বেতন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি লজিং থেকে টিউশনি করিয়ে পড়ালেখা করেছি। তারপর আজকে অর্থমন্ত্রী হয়েছি। সুতরাং সব শিশু-কিশোরই আগামীতে অর্থমন্ত্রী হতে পারবে। এজন্য মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে এবং বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ উস সামাদ এমপি।