প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অসাধারণ একটি আলোচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর নিজের ভেরিফয়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলা ভাষাতে একটি টুইট করেন তিনি।
টুইটার অ্যাকাউন্টে মোদি লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে অসাধারণ একটি আলোচনা হয়েছে। আমরা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করেছি।’
গতকাল শনিবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর দুই নেতার উপস্থিতিতে বন্দর ব্যবহার, পানিবণ্টন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উপকূলীয় নজরদারি সংক্রান্ত বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরালো করতে দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক, একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর, একটি চুক্তি ও অপরটি একটি কর্মসূচির নবায়ন।
এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার্সে বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইপিএসডি), রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় বিবেকানন্দ ভবন ও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন যে, তার সরকার ভারতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের জন্য কাজ করছে।
বিবৃতি অনুযায়ী, দুই প্রধানমন্ত্রী যুগপৎভাবে অপর ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনেও দ্রুততার সঙ্গে সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বিনিময় এবং ফ্রেমওয়ার্ক অব ইন্টেরিম এগ্রিমেন্টের খসড়া প্রস্তুত করার জন্য যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ের কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন।