আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিশুদের মানবিক গুণাবলী ও কর্মদক্ষতা বিকাশে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
আজ বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের যারা তরুণ-তরুণী তারাই তো হবে সেই ৪১ সালে আমাদের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কারিগর।’
তিনি বলেন, ‘শতবর্ষ পরেও বাংলাদেশ যেন এক উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদার আসন পায় আজকের শিশুদের আমরা সেভাবেই পরিচর্যা করতে চাই। তাদের স্বাস্থ্য, মন ও মানবিক গুণাবলী এবং তাদের কর্মদক্ষতা যেন বিকশিত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা নিতে চাই।’
প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়েও সচেতন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন সেনসাস রিপোর্ট করি, বাংলাদেশে কত প্রতিবন্ধী আছে, আমরা কিন্তু সেটা হিসাব করে বের করেছি। ১৬ লাখের ওপর প্রতিবন্ধীকে আমার মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেছি। যাতে করে তাদের কেউ অবহেলা করতে না পারে। পাশাপাশি যে সকল প্রতিবন্ধী শিশু পড়াশোনা করছে, তাদের আমরা আরও বেশি টাকা করে বৃত্তি দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাদের জন্য আমরা ব্রেইল বই ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়া আমাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা আছে, তাদের জন্য আমরা তাদের ভাষায় বই তৈরি করে দিয়েছি। আমরা এটাই চাই যে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে।’
প্রাথমিক পর্যায় থেকে সরকার কম্পিউটার শিক্ষা দিচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আমরা ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করে দিয়েছি। কম্পিউটার শিক্ষাটা আস্তে আস্তে আমরা ছেলেমেয়েদের দিচ্ছি। তা ছাড়া আমরা শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে দিচ্ছি।’
এ সময় শিশুদের ভবিষ্যত নেতা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব।’