বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খুব শিগগির এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভিডিও ফুটেজ দেখে আবরারের হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধীদের। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। খুব শিগগির এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
বুয়েট ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘র্যাগিং কালচাল পুরানো। বুয়েটে বেশি হয় এই কালচার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম তথ্য আসেনি। যারা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেন তাদের দায়িত্ব এসব দেখা।’
ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে কি না-এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলে খুব শিগগিরই ভার্সিটি ও কলেজগুলোর ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে। ছাত্রাবাস নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।’
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরারকে গত রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সোমবার রাতে আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই রাতেই হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাকে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ জনে।