শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র আছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান।
তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয় তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ বেছে নেয়। আজকেও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে পারতো। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে ক্রমাগতভাবে তারা পরাজিত হয়েছে। তাই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র আছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আজকে তার বিরুদ্ধেও নানামুখী ষড়যন্ত্র আছে। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ শীর্ষক আলোকচিত্র ও শিল্পকর্মের প্রদর্শনী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার চলার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। তাকে একে একে ১৯ বার হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেছেন। দ্বিধান্বিত হননি, বিচলিত হননি বরং তিনি আরো প্রত্যয়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে গেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিনা রক্তপাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভারত-মিয়ানমারের কাছ থেকে আমাদের যে সমুদ্রসীমা হিস্যা আদায় করেছি, তার আয়তন প্রায় দেশের সমান। ৬৮ বছর পুরনো ছিটমহল সমস্যা সমাধান করে জয় করেছি। স্থলসীমা, মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে নিজ কক্ষপথে চলছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, এভাবে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে উড়ছে বাংলাদেশের বিজয়কেতন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলেন। আজকে সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়েছে। আমরা অনেক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। বিশেষ করে সামাজিক সূচক এবং মানব উন্নয়ন সূচকে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। আজকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়ে দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা সবজি উৎপাদনে বিশ্বে ৩য়, মৎস্য উৎপাদনে ৪র্থ, আলু উৎপাদনে ৭ম। ছোট্ট দেশ এভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে এটি আজকে পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। সমস্ত বিশ্ব নেতারা আজকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।’
‘দেশকে এমনভাবে গড়বো পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে— প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তব্য উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বপ্ন না থাকলে স্বপ্নপূরণের তাগাদা থাকে না, স্বপ্নহীন মানুষের পক্ষে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, অনেক আগেই বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করতেন। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বপ্ন থাকতে হয়। সেটি অনুধাবন করে শেখ হাসিনা জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন।’
সভাশেষে তথ্যমন্ত্রী অতিথিদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্বপ্নের বাংলাদেশের ওপর চিত্র ও শিল্পকর্মগুলো নিবিষ্টভাবে ঘুরে দেখে শিল্পীদের প্রশংসা করেন।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রমুখ।