প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন। কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে চলাচল করবে ট্রেনটি। একই সময়ে নতুন র্যাকে প্রতিস্থাপিত দুটি ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। একই সময়ে রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের র্যাক প্রতিস্থাপন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বাণিজ্যিক যাত্রা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় জেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নতুন ট্রেনটি চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত এ অঞ্চলটির যাতায়াতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছেন কুড়িগ্রামবাসী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম থেকে যোগ দেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম সরাসরি ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলল কুড়িগ্রামের মানুষের। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সদ্য আসা নতুন কোচ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী উঠানামায় বিরতি থাকবে।
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।