আজহারের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ : খন্দকার মাহবুব

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের সাজা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই এ পুনর্বিবেচনার আবেদন করবো। রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় কার্যকর করা যাবে না।’

এর আগে আজ সকালে আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

এর আগে গত ১০ জুলাই এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান) রাখেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ শুনানি শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগ ছাড়াও তিনি যে আলবদর কমান্ডার ছিলেন তাও প্রমাণিত হয়েছে রায়ে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন।