কৃষি মন্ত্রী ড.মো:আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন; শেখ রাসেল ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক মেধাবী সন্তান। গোলাপের মত সৌরভ ছড়াতেন,সুর্যের মতো দিপ্তমান ছিলেন। আজ তিনি বেচে থাকলে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ হতো।
১৯৭৫ সালে শেখ রাসেল এই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট মানবতার শক্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। ইতিহাসের বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হত্যাকান্ড কখনো ভুলে যাবার নয়,এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ রাজধানীর ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার পরিবারের ঐতিহ্য ও জীবন দর্শন থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব। ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন তোমরা সত্যিকারের জ্ঞান অর্জন করবে এবং দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে। সত্যিকার শিক্ষা হচ্ছে নিজেকে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করা। বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে এবং তোমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এক অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন,এটা ধরে রাখার দায়িত্ব আজকে যারা শিক্ষার্থী তাদের। বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এই স্কুল থেকে তোমরা মানবিক শিক্ষাগ্রহণ করবে। মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। তোমরাই পারবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে,বললেন মন্ত্রী।
স্কুল প্রাঙ্গঁণে শেখ রাসেলের ম্যুর্যাল স্থাপনের জন্য সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো.মোজাফ্ফর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য ড.মুহাম্মদ সামাদ,শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক সৈয়দা তাহমিনা আখতার ও স্কুলের অধ্যক্ষ সেলিনা বানু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিদ রায় নন্দী।