সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোতে যাতে কোনও বিতর্কিত ব্যক্তির অনুপ্রবেশ না ঘটে সেজন্য যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটি সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব লোক দিয়ে সহযোগী সংগঠনগুলোতে অনুপ্রবেশেকারীদের একটা তালিকা তৈরি করেছেন। সেই তালিকা পার্টি অফিসে পাঠিয়েছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে যাতে কোনও বিতর্কিত ব্যক্তি পুনরায় দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।’
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যলায়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূল সংগঠনকে সম্মেলন করতে হবে। গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস ইতিপূর্বে এতো বেশি প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। বিতর্কিত ব্যক্তিরা যাতে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।’
এসময়ে বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চলমান শুদ্ধি অভিযান বিএনপির ভালো লাগবে না। তারা ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ৫ বার। অপকর্মের জন্য তারা তাদের দলের কাউকে শাস্তি দিতে পারেনি। এটা শেখ হাসিনা পেরেছেন। এজন্য তাদের গাত্রদাহ। শুদ্ধি অভিযান জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রসংশা করেছে। আমরা ক্ষমতাসীন দল হওয়া সত্বেও আমাদের এমপি মন্ত্রীসহ যারাই দুনীর্তি সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা শুধু ১৬ কোটি মানুষের নেতা নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়। তিনি বিশ্বের অন্যতম নেতা। আজকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তার এ শুদ্ধি অভিযানকে পূর্ণ সমর্থন করা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। বারবার শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলছে বিএনপি। এটা ছাড়া তাদের কোনও ইস্যু নেই। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে মেডিকেলে বোর্ড কথা বলতে পারে। মেডিকেল বোর্ডে তো বিএনপির চেয়াপারসনের পছন্দ ডাক্তারও রয়েছে। মেডিকেল বোর্ড বলছে তার (খালেদা জিয়ার) স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।