অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ওই দিন সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসার কথা রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শায়রুল কবির খান বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার সাদেক হোসেন খোকার পরিবার দেশে ফিরবেন। নিউইয়র্ক সময় রাত ২টা ৫০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
খোকাকে ঢাকার জুরাইনে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে জানান তার শ্যালক শফিউল আজম খান। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে সাদেক হোসেন খোকার লাশ ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
খোকার শ্যালক জানান, দুই বছর আগে সাদেক হোসেন খোকার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেও জবাব পাননি। এখন তার মৃতদেহ ঢাকায় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রয়োজন।
আজম খান আরও জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসে ট্রাভেল ডকুমেন্টের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন। সেই কাগজ হাতে পাওয়ার পরই তার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার সময়ক্ষণ পরিবার ঠিক করবেন।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে খোকার প্রথম জানাজা হয়েছে। জানাজার আগে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রতি সম্মান জানান। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ দেশে আসবে।
প্রসঙ্গত, সাদেক হোসেন খোকা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত ১৮ অক্টোবর মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাকে ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে গত এক সপ্তাহ তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। চিকিৎসকেরা তার সুস্থ হয়ে ওঠার সবরকম আশা ছেড়ে দেন। এ কারণে হাসপাতালে যত লোক তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে গিয়েছেন সবার সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। সবার কাছেই তিনি দোয়াও চান।