রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলায় খালেদার পরবর্তী হাজিরা ২৯ জানুয়ারি

হত্যা ও নাশকতার ১০ মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরার তারিখ আবার পেছানো হয়েছে।

আজ বুধবার খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য ছিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ। কিন্তু মামলাগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত থাকায় আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আগামী ২৯ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেন। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৩১ যাত্রী দগ্ধ ও জখম হয়। তাদের মধ্যে নূর আলম নামে একজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়েছিল। দণ্ডবিধিতে উদ্ভ’ত হত্যা মামলার তারিখ ধার্য ছিল আজ। এ ছাড়া একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার তারিখ ধার্য ছিল।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।”

ওই বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাবের পরিচয় রয়েছে অভিযোগ করে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা করেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

নাশকতার ৯ মামলা

রাজধানীর দারুস সালাম থানায় ২০১৫ সালে দায়ের করা নয়টি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয় গত বছর বিভিন্ন সময়ে । ওইসব মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর মহনাগর দায়রা আদালতে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়। এসব মামলায় খালেদা জিয়া জামিন নেওয়ার পর অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন তারিখে সময় নেওয়ার কারণে বার বার শুনানি পেছানো হয়। গত কয়েকমাসে অধিকাংশ মামলা হাইকোর্ট কর্তৃক স্থগিত করা হয়। এসব মামলার হাজিরা ছিল আজ।