আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। সম্মেলনের মাধ্যমে পুরাতন নেতৃত্ব বাদ পড়ে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে। তবে যারা বিভিন্ন অপকর্কের সঙ্গে যুক্ত, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন তারা কোনও ভাবেই নেতৃত্বে আসতে পারবে না- এমনটাই জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা।
সংগঠনটির নগরের তৃণমূল নেতারা বলছেন, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের অবশ্যই কর্মীবান্ধব, সৎ, অভিজ্ঞ এবং সাংগঠনিক নেতৃত্বের অধিকারী হতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে প্রাধান্য দেয়া হতে পার ১/১১‘র পরীক্ষিত কর্মীদের। পদপ্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিজেরাও চান সংগঠনের নেতৃত্বের দায়িত্ব যেই পান, তিনি যেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আর সাংগঠনিকভাবে দক্ষ হোন।
তবে দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ পদের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার। তিনি সংগঠনটির সভাপতি প্রার্থী। আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার বিএনপি-জামায়াতের আমলে সামনের কাতারে থেকে আওয়ামী লীগের জন্য রাজনীতি করেছেন। ১/১১ এর সময়ও নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে ছিলেন সামনের সারিতে। এ জন্য নির্যাতনের শিকারও হয়েছিলেন তিনি।
প্রার্থী তার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবেক ছাত্রনেতা যারা দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন, যারা সৎ-দক্ষ ও ক্লিন ইমেজের তাদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে সংগঠনের বাহির থেকে নয়, যারা দীর্ঘ দিন দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগে দায়িত্বপালন করছেন তাদের মধ্য থেকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, ‘আমি ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী। সকল পরিস্থিতিতেই আমি দলের জন্য কাজ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন, তাহলে আমি অবশ্যই পবিত্রতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবো।’
এ যাত্রায় আরো এগিয়ে আছেন ঢাকা ‘ল’ কলেজের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ। তিনি ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হচ্ছে। যারা দুঃসময়ে রাজপথে থেকে দলের জন্য কাজ করেছেন, ক্লিন ইমেজের রয়েছে তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব বাছাই করা হোক।’
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, আগামীকাল আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন সফল করার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ দেখভাল করছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দক্ষ-ত্যাগী ও পরীক্ষিতরাই এই সংগঠনের নেতৃত্বে আসবে।’