শহীদ নূর হোসেন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় তার মায়ের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা। এই ঘটনায় তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষমা চান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে জাপা মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, ‘গত ১০ নভেম্বর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঘরোয়াভাবে আয়োজিত “গণতন্ত্র দিবস”-এর আলোচনা সভায় আমার কিছু বক্তব্য নিয়ে কোনো কোনো মহল এবং বিশেষ করে নূর হোসেনের পরিবারের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতি বছর নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে কয়েকটি সংগঠনের আলোচনা, বক্তব্য ও বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, এমনকি তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয়। এর ফলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের উত্তেজনার মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে আমার মুখ থেকে নূর হোসেন সম্পর্কে কিছু অযাচিত কথা বেরিয়ে গেছে। যা নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মনে আঘাত করেছে। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নূর হোসেনের পরিবারের প্রতি আমাদের প্রয়াত চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদও সমব্যথী ছিলেন। অসতর্কভাবে বলে ফেলা আমার বক্তব্যে যে আঘাত লেগেছে, তার জন্য আমি নূর হোসেনের মায়ের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে আমার যে বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, সেসব বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে পুলিশের গুলিতে শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’ ও ‘ফেনসিডিলখোর’ বলেছিলেন জাপার মহাসচিব। গত রোববার গণতন্ত্র দিবসের এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করার পর রাঙ্গার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর গতকাল বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় ক্ষমা চান তিনি