অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত “প্রমোটিং অ্যাকাউন্টেবেলিটি অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং” শীর্ষক সাউথ এশিয়া অ্যাকাউন্টেবেলিটি গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্পিকার।
তিনি বলেন, পিএ কমিটি, সিএজি, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সাথে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শিরীন শারমিন।
স্পিকার বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক ও সচেতন হলে প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
তিনি বলেন, সরকারি অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সরকারের সব কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।